অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজার আবাসিক এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর হামলা ৩৪তম দিনে পড়লো। নতুন দফা আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে দুটি আবাসিক বাড়িতে বোমা হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনী শহীদ হয়েছে।
ইসরাইলি জঙ্গিবিমানগুলো জেনিন শহরের আশ-শেফা হাসপাতালেও বোমাবর্ষণ করেছে। গাজার বিভিন্ন এলাকায় আজ সকালেও বোমা হামলা চালিয়েছে তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই উপত্যকায় এখন আর কোনো ভূমিই ইসরাইলি বোমা হামলা থেকে মুক্ত নেই।
মানবাধিকারসহ আন্তর্জাতিক কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইসরাইল গাজার হাসপাতাল, ক্লিনিক, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বেসামরিক স্থাপনায় নির্বিচারে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৬৯ ফিলিস্তিনী গণহত্যার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ শিশু এবং ২ হাজার ৮২৩ নারী। আহত হয়েছে আরও ২৬ হাজার ৪৭৫ ফিলিস্তিনী। গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১৪ লাখই গৃহহীন উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। ৩২ হাজার ভবন এবং ৪৪টি মেডিক্যাল সেন্টার ধ্বংস হয়েছে। তারপরও ইহুদিবাদীরা স্থল যুদ্ধে তাদের ঘোষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে নি এবং রণাঙ্গনেও তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
অপরদিকে ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৫১ ইহুদিবাদী সেনা নিহত হয়েছে। এই খবর এমন সময় প্রকাশ পেলো যখন বিভিন্ন সূত্র গত সোমবার রাতে জানিয়েছে তেলআবিবের সৈন্য নিহতের সংখ্যা প্রকাশের দায়ে ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আফ্রায়িম মোরদেখাই নামের সাংবাদিক বলেছিলেন: তিনি তেলআবিবের একটি হাসপাতালে ইসরাইলি সেনাদের স্তুপীকৃত লাশ দেখেছেন। ইসরাইলি সেনারা নিহত সেনাদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করছে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এসব ঘটনা প্রমাণ করে গাজায় ইসরাইল মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আল-আকসা তুফান অভিযান মোকাবেলায় নেতানিয়াহুর এই চরম ব্যর্থতা তার সরকার এবং মন্ত্রিসভাকে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নানা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।
Leave a Reply